মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

রেজভী টিভি সত্যের সন্ধান চ্যানেল সুন্নিয়তের প্রচার

আল্লামা আলহাজ্ব শেরে গাজী অাকবর অালী রেজভী সুন্নী অাল্ ক্বাদেরী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু )  রেজভীয়া দরবার শরীফ নেএকোনা ।। বাংলাদেশ


#লাউড_স্পিকারে_নামায_এবং_আকাবিরদের_ফতোয়া


লাউড স্পিকারে নামায সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে অনেকে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন! বলেন- এটা গোরামী, মুর্খতা, ফিৎনা ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ মসলকে আলা হযরত-ই শুধু নয় প্রায় সকল মসলকের আকাবিরদের ফতোয়া হলো লাউড স্পিকারে নামায নাজায়েজ। যারা মনে করেন যে ‘লাউড স্পিকারে নামায হারাম’ ফতোয়া কেবল মাত্র আল্লামা রেজভী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু দিয়েছেন তাদের জন্য আজকের এই পোষ্ট। ভিডিওতে ভারতের প্রখ্যাত আলেম আল্লামা ফারুক খান রেজভী সাহেবের বক্তব্য আছে। দয়া করে একবার শুনে নিবেন। যারা উর্দ্দু বুঝেন না তাদের জন্য বাংলায় অনুবাদ করে নিচে দেয়া হয়েছে। আশা করি ভিডিওটি দেখলে এবং অনুবাদটি পড়লে ফতোয়াটি বুঝে আসবে।

#বঙ্গানুবাদ ঃ

জিজ্ঞেস করা হয়েছে লাউড স্পিকারে নামাযের হুকুম কি?

#জবাব ঃ
তো, আমাদের যত আকাবেরিন ছিলেন, সরকার মুফতীয়ে আজমে হিন্দ হোন, শেরবাশ-এ-আহলে সুন্নাত হোন, মুফতী বুরহানুল হাক্ব (বুরহানে মিল্লাত) হোন, মুফতি আল্লামা নাঈমুদ্দিন মুরাদাবাদী সাহেব হোন, হুযুর সরদুরশ শরিয়াহ হোন (মুফতি আমযাদ আলী-বাহারে শরিয়ত প্রণেতা) – যত আমাদের আকাবেরিন আছেন-সকলের ফতোয়া হল লাউডস্পিকারে নামায পড়া নাজায়েয।

কিন্তু আজকাল কিছু মৌলভী আছেন যারা জায়েজের ফতোয়া দিচ্ছেন। আমার মত হলো- বুযুর্গদের ফতোয়ার উপর আমল করার মধ্যেই কল্যাণ ও নাজাত রয়েছে। কেননা আমাদের এই আকাবেরিন যারা নাজায়েয ফতোয়া দিয়েছেন, এঁরা জ্ঞানের ওই হিমালয় পর্বত –আজকের সব মাওলানা একত্র হলেও উনাদের একজনের সমকক্ষ হবেন না।

আর দ্বিতীয় কথা হল, মাইক ছাড়া নামায হয়ে যাবে এতে তো কারো কোন ইখতিলাফই নাই। মাইকে নামায হবে কিনা- এ নিয়ে ইখতিলাফ আছে। ধরুন কেয়ামতের দিন বোঝা গেল তাদের বক্তব্য সঠিক প্রমাণ হলো যাদের ফতোয়া মাইকে নামায হবে না-তো এই নামাযের ক্ষতিপূরণ আপনারা কীভাবে করবেন? তাহলে এমন রিস্কই কেন নিবো আমরা?

কিন্তু আজকাল এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে, প্রায়ই মসজিদগুলিতে ট্রাস্টিরা অনেক জায়গায় ইমাম রাজি না হলেও ট্রাস্টি যারা থাকেন, মসজিদের এন্তেজামিয়া যে কমিটি থাকে, তারা ইমামের উপর চাপ তৈরি করেন – মাইক লাগাও, লাউড স্পিকার লাগাও! কেন? আওয়াজ আসছে না! ভাবে মনে হয় সবাই এত আরবি জানে যে ইমামের ক্বিরাতের পুরা তর্জমা করে নিয়েছে!

কিছু লোক- রমযান আসলে খুব চেঁচামেচি করে- ‘ভাই, তারাবিতে তো কমসে কম মাইক লাগাও! ইমাম সাহেব কী পড়ছেন শোনা তো লাগবে!”

আরে ভাই, ইমাম সাহেব কী পড়ছেন আপনি শুনে কী এমন বড় তীর মেরে ফেলবেন? আসর ওয়াক্তে ইমাম নীরবে পড়েন, তো এখন আসর ওয়াক্তেও ইমামকে দিয়ে জোরে ক্বিরাত করানোর নিয়ত আছে নাকি? যোহরেও তো চুপ থাকেন। ইশাতেও তো দুই রাকাআত চুপ থাকেন ইমাম সাহেব, মাগরিবেও তো এক রাকাআত চুপ থাকেন। শরিয়তের ভাষ্যমতে ক্বিরাত অত লাযিম (আবশ্যক) নয়-বরং মাসয়ালা কী?

দুররে মুখতারে আছে- নামাযে জেহের, মানে ওই নামায যেখানে সশব্দে উঁচু আওয়াজে ক্বিরাত করা হয়, তাতে ইমামের জন্য এতটুকু জোরে ক্বিরাত করাই যথেষ্ট যাতে প্রথম কাতারের দুই জন মুক্তাদি শুনতে পারে। কতজন মুক্তাদি? –দুজন ! শেষ কাতার পর্যন্ত সব মুক্তাদিকে শুনতে হবে-শরিয়তে এমন কোন বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয় নাই।

যা হোক, এই ব্যপারে (মাইকের পক্ষে) যত বাহানা করা হয়ে থাকে সব ফালতু বাহানা। আসল কথা হলো, লাউড স্পিকার থেকে বাঁচাই উত্তম। আর এর উপরই আমাদের বুযুর্গদের ফতোয়া আছে।

সরকার মুহাদ্দিসে আযম (রহ) এর ফতোয়া হলো- উনি বলেছেন- লাউড স্পিকার বিদ’আতে সাইয়্যাআহ, আর বিদআতে সাইয়্যাআহ হল সেই কাজ যা করলে গুনাহ হয়। বিদআতে সাইয়্যাআহ কেন বলেছেন? কারণ এটা মুকাব্বিরের সুন্নাতকে খতম করে দিয়েছে। হুযুরের ﷺ যামানায় যখন আওয়াজ পৌঁছাতো না তখন সাহাবাদেরকে মুকাব্বির বানানো হত। আবু বকর (রা) প্রায়ই মুকাব্বির হতেন। সহিহ বুখারিতে রীতিমত এর উপর বাব (অধ্যায়) রয়েছে। সাহাবাদের মুকাব্বির বানানো হত। এখন লাউড স্পিকারের কারণে মুকাব্বির সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাই, লাউড স্পিকার তো কাজ করছে! তো অনেকগুলি কারণ রয়েছে যার কারণে নামায হয় না। অতএব, উত্তম হলো লাউড স্পিকার থেকে বাঁচুন। ওয়া আল্লাহু আ’লাম সুম্মা রাসুলুল্লাহ ﷺ আ’লাম।

 রেজভী টিভি বাংলা সত্যের সন্ধান চ্যানেল সুন্নিয়তের প্রচার

Razvi TV Bangla
Like & Share

YouTube Channel Subscribe us on
Razvi Tv




আল্লামা আলহাজ্ব শেরে গাজী অাকবর অালী রেজভী
সুন্নী অাল্ ক্বাদেরী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু )
রেজভীয়া দরবার শরীফ, নেএকোনা জেলা বাংলাদেশ ।।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন